আন্তর্জাতিক শিশু নোবেল শান্তি পুরস্কার-২০ এর চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পাওয়া ৪২টি দেশের ৪২ জন শিশুর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশি শিশু ১৬ বছরের এম. এ. মুন্ঈম সাগর। মুন্ঈম সাগর উপকূলীয় বরগুনা পৌরসভার কলেজ রোডের মুসলিম পাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার বাবা শাহ্ মো. হুমায়ুন সগির এবং মা মনিরা বেগম উভয়ই সরকারি চাকুরিজীবী।
মুন্ঈম বরগুনা জিলা স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বর্তমানে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যায়নরত আছেন। তিনি জাতীয় সেরা সমাজকর্মী স্টুডেন্ট অ্যাওয়ার্ড এবং জাতীয় সেরা স্কাউট মোটিভেটর অ্যাওয়ার্ডসহ ইতিমধ্যে ১৫টি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়াও জাপান সরকারের অধীনে পেয়েছেন একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার। সমাজসেবা ও শিশু অধিকার নিশ্চিত করার যে আন্দোলন বিশ্বব্যাপী মুন্ঈম সাগর অব্যাহত রেখেছেন; তার সূচনা ঘটে নিজ পারিবারিক সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থা (বিডিডিটি) এর মাধ্যমে। যার প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মুন্ঈম সাগরের নানা মো. মনিরুজ্জামান খান। পরবর্তীতে শিশু অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এম.এ.মুন্ঈম সাগর টাইগার্স অব বাংলাদেশ (টিওবি) প্রতিষ্ঠা করেন।
মুন্ঈম সাগরের বাবা শাহ্ মো. হুমায়ুন সগির বলেন, ছোটবেলা থেকেই মুন্ঈম মানুষের প্রতি যথেস্ট বিনয়ীচিত্তে ভালোবাসা ও দরদ নিয়ে বড় হয়েছে। অসহায় শিশুদের দেখলে তাদের সাহায্য সহযোগিতার জন্য এগিয়ে যেত। শিশু অধিকার নিয়ে এখনো কাজ করে। তারই স্বীকৃতি স্বরূপ আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে আমার ছেলে। সবাই দোয়া করবেন, মুন্ঈম যেন বিজয়ী হতে পারে। প্রসঙ্গত, সামাজিক উন্নয়ন, সমাজের পরিবর্তন, শিশু অধিকার, দারিদ্রতা দূরীকরণ এবং ক্ষুধা নিবারণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য এ পুরস্কার প্রদান করবেন নেদারল্যান্ডের কিডস্ রাইটস্ ফাউন্ডেশন নামের একটি সংস্থা। প্রাথমিকভাবে ১৮৬ টি দেশের পাঁচ শতাধিক শিশু কিশোরকে এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে বাছাই করে মনোনীত করা হয় ৮৬ জনকে। সেখান থেকে চুড়ান্ত পর্যায়ে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে মুন্ঈমসহ মোট ৪২ জনকে। এখান থেকে একক কিংবা যৌথভাবে আগামী ১৩ নভেম্বর ঘোষণা করা হবে আন্তর্জাতিক শিশু নোবেল শান্তি পুরস্কার। ইতিমধ্যে এ পুরস্কার ঘোষণার জন্য অনলাইনে ভোট গ্রহণ শুরু করেছে সংস্থাটি। তাই উপকূলের মুন্ঈম সাগরকে বিজয়ী করতে হলে দরকার একটি মূল্যবান ভোট।
হ্যাশট্যাক #ঈযরষফৎবহংচবধপবচৎরুব ও লিংক যঃঃঢ়ং://শরফংৎরমযঃং.ড়ৎম/ঢ়বৎংড়হং/সঁহরস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করলে তার জন্য যোগ হবে একটি করে ভোট।
এম. এ. মুন্ঈম সাগর উপকূলবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, “পরিশ্রম আর সবার সহযোগিতা এবং ভালবাসায় এতদূর এসেছি আমি। আপনাদের প্রার্থনা আর একটি করে ভোট এখন আমাকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করতে পারে। তাই একটি পোস্টের মাধ্যমে আমাকে ভোট দেয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ করছি।